সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা (দুধ খাওয়া যাবে কি?)

সিজারিয়ান মায়ের খাদ্য তালিকা (দুধ খাওয়া যাবে কি?)

সিজারিয়ান ডেলিভারি বা সি -সেকশন এর মাধ্যমে ডেলিভারি হওয়ার পর প্রায়ই মায়েদের দুধ খাবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতে দেখা যায় সেটা বাড়ির মুরুব্বীদের পক্ষ থেকেই হোক বা কখনো স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফ থেকে উপদেশ সরুপ।

কারন হিসেবে যুক্তি সেলাই শুকাবে না বা গ্যাস হবে । আসলেই কি তাই?

আসুন জেনে নেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা কি বলেন-

প্রসব পরবর্তী খাদ্য তালিকাঃ কি খাব কি খাব না?

কি কি খাব?

১ । দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য যেমন পনির , দই যেগুলোতে প্রচুর পরিমানে আমিষ বা প্রোটিন , ভিতামিন বি, ডি  ও ক্যালসিয়াম আছে যা কিনা মায়ের বুকের দুধ এর উৎপাদন ও পুষ্টি বজায় রাখবে এবং মা এর সুস্বাস্থ্য ও দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করবে এবং সিজারের  বা ডেলিভারির ক্ষত দ্রূত শুকাতে সহায়তা করবে। মা যদি দুধ না খান তবে এসময় মায়ের শরীর থেকে ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমানে শিশুর দুধ এ চলে যাবে এবং মায়ের হাড় ক্যালসিয়ামহীন হয়ে পরবে যা সহজেই যে কোন ফ্রাকচার ঘটাতে শিক্ষন।

২। প্রচুর তরল জাতীয় খাবার যা কিনা বাচ্চার জন্য দুধ উৎপাদন ও মায়ের  সুস্বাস্থ্য ও অপারেশন পরবর্তী কোষ্ঠ্য -কাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে।

৩। প্রচুর তাজা ফল মূল ও শাক-সব্জী-

যেমন মালটা, কমলা, আপেল , যেকোন মৌসুমি ফল এবং ফুলকপি , বাঁধাকপি , লাউ , কলমিশাঁক, লাল শাক,যেগুলো প্রচুর  ভিটামিন এ ও সি , আয়রন ও ক্যালসিয়াম আছে।

৪। ব্রাউন চাল,গম,ওটস, ডাল খাবারের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এগুলোতে আছে আয়রন, ফলিক এসিড ও ফাইবার যা কিনা মায়ের  সুস্বাস্থ্য ও অপারেশন পরবর্তী কোষ্ঠ্য -কাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করবে।

৫। কালোজিরা যেটা কিনা মায়ের দুধ এর উৎপাদন ও পরিমাণ বাড়ায়।

৬। ডিম যা কিনা আমিষ ও প্রচুর ভিটামিন এ ও ডি এবং এইস  ডি এল কোলেস্টেরল এর উৎস ।

৭। বাদাম যাতে আছে প্রচুর  শর্করা,ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ই ,ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং ফাইবার ।

কি খাব না?

১।চা, কফি যা কিনা শরীর থেকে পানি বের করে দেয়।

২। ঝাল, তেল, ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার।

৩। অতিরিক্ত ভিটামিন সি জাতীয় পানীয় বা খাবার

৪। এলকোহল ও ধূমপান জাতীয় নেশা জাতীয় দ্রব্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *